আজ ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জে নিরাপত্তা ও জানমাল হেফাজতের দাবিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন

২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার এবং উক্ত স্থানে গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পের নিরাপত্তা ও জানমাল হেফাজতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “গুজব হুজুগ সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন হোক দেশময়” এ প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০ মার্চ রবিবার সকাল ১০ টায় জেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি নাজমুল হক ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় আমির মোঃ এনামুল হক বাপ্পা, বিভাগীয় রাজনৈতিক সম্পাদক মোঃ রহমত উল্লাহ রানা, কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুন, সহ-সভাপতি আবুল হাশেম চয়ন , জেলা রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আক্তার রুপা, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুমন, বাজিতপুর উপজেলা সভাপতি উবায়দুর রহমান, হোসেনপুর উপজেলা সভাপতি রাজন আহমেদ ।
প্রধান অতিথি বলেন, হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পন্নী পরিবারের সন্তান এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই আন্দোলন ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, অপরাজনীতি, নারী নির্যাতন ইত্যাদি যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছি।এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেছি।আরও রয়েছে মসজিদভিত্তিক মক্তব যেখানে সকল বয়সের মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধ ও দীনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারাকে নষ্ট করার জন্য পায়তারা করছে ।
২০১৬ সালের ১৪ই মার্চে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটের পোরকরা গ্রামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও প্রকাশ্য দিবালোকে দুইজনকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল ও পরোক্ষভাবে যারা ইন্ধন যুগিয়েছিল তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা হলে সেটাকে বিচারহীনতারই নামান্তর মনে করা হয়।কাজেই বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সরকারের পদক্ষেপ আশা করি। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, গ্রেফতারও করা হয়নি, কিন্তু এখন তাদের নাম, ঠিকানা ও হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই হামলাকারীদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করে সম্পূরক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে বা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে ।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ